বিমান দুর্ঘটনায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলরুমের কোন গাফিলতি ছিলোনা তদন্তের আগেই নেপালের এমন মতামত দেয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।
তারা বলছেন, কথপোকথনের রেকর্ডিংয়ে স্পষ্টই বোঝা যায় বিভ্রান্তিকর নির্দেশনা বিমানটির অবতরণকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে এবং এমন অগোছালো নির্দেশনা আন্তর্জাতিক নীতি বিরোধী।
Read More News
সোমবার দুপুরে ইউএস বাংলার বিএস- ২১১ একাত্তর জন যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঐদিন সন্ধ্যায় কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল- এটিসির সঙ্গে বৈমানিকের শেষ সময়ের কথপোকথন ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে। প্রশ্ন ওঠে বিভ্রান্তিকর দিক নির্দেশনার। বিষয়টি তার একদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকারও করে নেয় নেপাল বিমান কর্তৃপক্ষ।
নেপাল সিভিল এভিয়েশন মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেন, ‘দক্ষিণ দিক থেকে অবতরণের নির্দেশ অমান্য করে বিমানটি উত্তর দিক থেকে অবতরণ করেছে। আবার পাইলটকে উত্তর দিক থেকে অবতরণের নির্দেশনা দেযা হয়েছিলো। আমার মনে হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, দু দিকের ভুল নির্দেশনার ফলে দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে বিমানটি।’
এরইমধ্যে দুই দেশই তদন্ত শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে ব্লাক বক্স পাঠানো হয়েছে কানাডিয়ান বিমান নির্মাতা বোম্ব ডিয়ারের কাছে। এমন অবস্থায় ভোল পাল্টেছে নেপাল। এবার তাদের দাবি, দুর্ঘটনায় নেপাল এটিসির কোনো গাফিলতি ছিলোনা।
তবে, ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক টেলিফোনে জানিয়েছেন, তদন্ত চলার সময়ে নেপালের এমন অবস্থান যুক্তিসঙ্গত নয়।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও তদন্ত চলছে, তারা এমন মন্তব্য কিভাবে করে বুঝলাম না। এতদিন বলেছে এক, আজকে ভিন্ন কথা।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তদন্ত শেষে পুরো বিষয় পরিস্কার হবে। তবে, শেষ মুহূর্তের কথপোকথনে নেপালী ভাষায় নির্দেশনা কিংবা বিমানের অবতরণের সময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা নির্দেশনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
বিশেষজ্ঞ একজন বলেছেন, এটিসির যে কথোপকথোন অনেক জায়গায় বলেছে এটা সম্পূর্ণ নন প্রফেশনাল যোগাযোগ। নেপালি ভাষায় ও কথা শোনা গেছে যা মোটেও ঠিক না।