সন্তান প্রসবের সময় রোগীর পেটে গজ রেখে অপারেশন শেষ করার দায়ে পটুয়াখালীর বাউফলের কথিত চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নয় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাদীপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে আজ বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, আদালত আজকে আবেদনের শুনানি শেষে কথিত চিকিৎসককে পাঁচ লাখ টাকা এবং নিরাময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে চার লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রোগীকে এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পর ২৮ জানুয়ারি এ ব্যাপারে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগ গত ১১ ডিসেম্বর অপারেশনকারী কথিত চিকিৎসক রাজন দাসকে (অর্জুন চক্রবর্তী) আটক দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ভুয়া ডাক্তার, পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Read More News
গত ৬ নভেম্বর ওই ডাক্তারের সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন হাইকোর্ট।
এর আগে আদালতে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের পক্ষে দাখিল করা প্রতিবেদনে ডাক্তার নামধারী রাজন দাসের সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমাণিত হয়।
গত ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশাল মেডিকেলের গাইনি বিভাগের প্রধানসহ তিনজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে হাজির হতে বলা হয়।
একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২২ জুলাই ‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হলো গজ!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা আদালতের নজরে আনার পর রুলসহ হাইকোর্ট আদেশ দেন।