প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি আলবদর রাজাকাররা আর যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। এজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ জাতির পিতা তার মন থেকে দিয়েছেন। আপনারা দেখেছেন, জাতির পিতা ভাষণ দেওয়ার সময় কোনো লিখিত ভাষণ দেননি। এমনি কোনো নোটও নেননি তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্ত্রী অর্থাৎ আমার মা আবার বাবাকে বলেছিলেন, তুমি সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করেছো। তাই তুমি তোমার মন থেকে ভাষণ দিবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে শনিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশস্থলে যান।
রাজধানীতে আয়োজিত শোভাযাত্রাটিও গিয়ে সমবেত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশ স্থলে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা ও সব মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করেন।
৭ মার্চকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ৭ মার্চের এ ভাষণের সময় এ মাঠে থাকার। আমাদের স্বাধীনতা একদিনে আসে নাই। এক হাজার ২০০ মাইল দূরে থাকার পরও পাকিস্তানিরা চেয়েছিল আমাদের শোষণ করতে, চেয়েছিল আমাদের সাংস্কৃতিক অধিকার কেড়ে নেতে। এমন কি আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। যার প্রতিবাদ করেছিল ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হওয়া ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে উঠেছিল। ১১ মার্চ থেকে আন্দোলন শুরু হয় এবং সে আন্দোলন শেষ হয়েছিল ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে।
অতীতকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পর জাতির পিতার ভাষণ ছিল নিষিদ্ধ। এ ভাষণ বাজাতে গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীর ওপর এসেছে আঘাত। অনেকে জীবন দিয়েছে। আর সে ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যেরের অংশ।
Read More News
বেলা ১২টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি দুপুর ১টার দিকে সোহরাওয়ার্দীতে সমবেত হয়। সমাবেশস্থলে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।