নগরীর পুলিশ লাইন সড়কের একটি রেষ্টুরেন্টে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই কর্মচারীর বাদানুবাদের জেরে গতকাল বিকাল৩ টায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ আহত হয়েছে ১২ জন। এ ঘটনায় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রকেআটক করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা থানা হাজতে রয়েছে। একটি সুত্র থেকে জানা গেছে, পুলিশ লাইন রোডের একটিরেষ্টুরেন্টোর ষ্টাফ সজিব অপর ষ্টাফ জামালের মোবাইল ফোন চুরি করে নেয়। গতকাল সকালে রেষ্টুরেন্টের এক কর্মচারী জামালকেনিয়ে রূপাতলী এলাকা থেকে সজিবের কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে তাকে রেষ্টুরেন্টে নিয়ে আসে। এসময়,রেষ্টুরেন্টের অন্যদুএক জন কর্মচারী সজিবকে গালমন্দ করা সহ দু চারটি চড় থাপ্পর দেয়। ঘটনার পর সজিব ফিরে গিয়ে ১০ থেকে ১৫ জনসহযোগীকে নিয়ে ওই রেষ্টুরেন্টে এসে তার অপমানের প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্ট করলে কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে । এসময়রেষ্টুরেন্টের দু জন কর্মচারী সামান্য আহত হয়। প্রতিরোধের মুখে সবুজ তার দলবল সহ ফিরে যায়।
Read More News
পুনরায় আনুমানিক বেলা তিনটার দিকে সে আরো লোক জোগাড় করে ওই রেষ্টুরেন্টে হামলা চালানের চেষ্টা করে এবং রটিয়ে দেয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে স্থানীয়রা ও পলিটেকনিকের ছাত্ররা মারধোর করেছে । এ রটনা শুনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটি ক্যাম্পাসের আশে পাশেথাকা ছাত্ররা অংশ নেয় শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ । পুলিশ এসময় ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে । এ সংঘর্ষে পুলিশেরএস আই সত্যরঞ্জন খাসকেল ও কনষ্টেবল ফিরোজ সহ আহত হয় আরো ১ জন। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো প্রায় ৭-৮ জন আহতহয়। তারা বিভিন্ন যায়গায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে সুত্র জানিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিটি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে পুলিশবিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ ৫ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দাবী করেছে। এদিকে শেষ খবর লেখা পর্যন্ত ছাত্রদেরমুক্তির দাবিতে ছাত্রনেতারা থানায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে রেষ্টুরেন্টের মালিকরা কোন মামলা দায়ের করেনি।তবে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। গভীর রাত্রে জানা গেছে সংঘর্ষ চলাকালে সাংবাদিকদের ক্যামেরাভাংচুর হওয়ায় তারাও মামলা করতে পারেন। এদিকে নগরীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্রদর মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠাও উত্তেজনা বিরাজ করছে।