পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেয়ার রায় স্থগিত হয়নি।রায়টি স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছে চেম্বার আদালত।একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের করতে বলেছেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার মো. আবদুল হালিম।
আদেশের পর ব্যারিস্টার আবদুল হালিম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদনটি করে। চেম্বার বিচারপতি স্থগিতাদেশ না দিয়ে শুনানি দুই সপ্তাহ মুলতবি করেছেন। ফলে ওই সময় পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকছে।
Read More News
অন্যদিকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির সাংবাদিকদের বলেন, চেম্বার বিচারপতি আবেদনের শুনানি দুসপ্তাহের মধ্যে মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন। দুসপ্তাহ পর বিষয়টি আবার আসবে। হাইকোর্টের রায়ের কপি পেলে নিয়মিত লিভ টু আপিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাজাহানপুর রেল কলোনিতে কয়েকশ’ ফুট গভীর একটি খোলা পাইপে পড়ে যায় চার বছর বয়সী শিশু জিহাদ।
প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর পাইপের ভেতরে জিহাদ নেই বলে অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস। এর কিছুক্ষণ পর কয়েক জন তরুণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা যন্ত্রে পাইপ থেকে জিহাদকে উদ্ধার করেন।
মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশু জিহাদের এ করুণ মৃত্যুর ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর তার পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আদেশসহ একটি সংক্ষপ্তি রায় দেন।
তবে এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এবং সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান কত ক্ষতিপূরণ দেবে, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত নির্ধারণ করে দেবেন বলে জানায় আইনজীবীরা।
পরে এই রায় স্থগিত চেয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের ওপর মঙ্গলবার শুনানি হয়।