মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বসার পর থেকেই চীন এবং আমেরিকা দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ঝামেলার তৈরি হয়েছে। শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরে নিমিৎজ শ্রেণির মার্কিন এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার ইউএসএস কার্ল ভিনসনের মহড়া নিয়ে আরও উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। শুধু কার্ল ভিনসন নয়, আরও বেশ কয়েকটি মার্কিন রণতরী এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ বেইজিং।
দক্ষিণ চীন সাগরে যাতে চীনের সার্বভৌমত্ব নষ্ট না হয়, সেজন্য গত বুধবারই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তবে আমেরিকা তাতে কর্ণপাত করেনি এবং এই অঞ্চলে বেইজিংকে আধিপত্য কায়েম করতে দেবে না এই মহড়া থেকেই সেটা স্পষ্ট।
Read More News
শুক্রবারই দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের মহড়া শেষ করেছিল চীন। তার জবাব দিতেই আমেরিকার এই মহড়া বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রিয়ার অ্যাডমিরাল জেমস কিলবি জানান, যেকোনও পরিস্থিতির জন্য নিজেদের তৈরি রাখার জন্যই এই মহড়া। এছাড়া এর পিছনে অন্য কোন কারণ নেই।
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি অনেকদিন ধরেই। চীনের দাবি পুরো এলাকাটি তাদের নিজস্ব। আর এতেই আপত্তি ব্রুনেই, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে তাদেরও অধিকার রয়েছে। এদিকে, পুরো এলাকাটিতে নিজেদের শক্তি বাড়াতে কৃত্রিম দ্বীপও তৈরি করেছে বেইজিং। শুধু আশেপাশের দেশগুলো নয়, আমেরিকাও চীনের এই পদক্ষেপে আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিনিয়ত নিজের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং।