আজ মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৫ আগস্টের সেই কালো রাতের পর প্রথম ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যাওয়ার স্মৃতিচারণ করে কেবলই কাঁদছিলেন।
বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখার সময় বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এখনো ভাবলে গা শিউরে ওঠে। ওই বাড়িতে যখন আমাকে নিয়ে গেল, আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারিনি। অর্ধেক সিঁড়ি উঠে আমি চিৎকার করে ফিরে যাই। কলাপসিবল গেইট তখন বন্ধ, সেখানে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নিজে কাঁদলেন, কাঁদালেন উপস্থিত সবাইকে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় চায়নি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারাই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
Read More News
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার জন্মদিন এ তারিখে না, শুধু আমাদের আঘাত দেওয়ার জন্য, যেদিনটা আমরা শোকে কাঁদি, বাবা হারিয়েছি, মা হারিয়েছি, ভাই হারিয়েছি, সে ব্যথায় যেদিন ব্যথিত থাকি সেদিন আরেকজন কেক কেটে সেজেগুজে জন্মদিন পালন করত। কালকে শুনলাম তিনি করবেন না , কেউ কেউ এটাকে রাজনৈতিকভাবে তার উদারতা দেখাতে চাচ্ছে। কিন্তু আসল ঘটনা কি সে তো আমি জানি। ১২ আগস্ট তাঁর ছেলে কোকোর জন্মদিন।
কোকোর জন্মদিন যেহেতু করতে পারবে না কোকো মারা গেছে তাই নিজেরটা করবে না এটা হলো বাস্তব কথা।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করে। তিনি আরো বলেন, একই পথ অনুসরণ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং খালেদা জিয়া। তিনি আরো বলেন, একটা সময় ছিল যখন টিভিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি-ই দেখানো হতো না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যেতে চাইলাম মিলাদ পড়ব, জিয়াউর রহমান আমাকে ঢুকতে দেয়নি। আমার জন্য ৩২ নম্বর ছিল নিষিদ্ধ। আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে মিলাদ পড়ে চলে এলাম।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এখানে ওখানে বাড়ি দিতে চেয়েছে। কিন্তু, খুনির কাছ থেকে কিছু নেয়ার রুচি হয়নি আমার। জিয়াউর রহমান দিল্লিতে ও লন্ডনে আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। কিন্তু, আমি বলেছি খুনির সঙ্গে আমার কোনও সাক্ষাত হবে না।