তারেক রহমানের ৭ বছরের কারাদণ্ড, ২০ কোটি টাকা জরিমানা

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তাঁর জরিমানা ৪০ কোটির পরিবর্তে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম।
Read More News

তারেক রহমান গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণ হওয়ার পর থেকে এ মামলার রায় কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার বাদী খাদিজা বেগম ও পোসাপ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, মেরিনা জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, দেশের টেকসই ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অর্থ পাচার বড় ধরনের বাধা। তারেক রহমান একজন সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তি। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কিংবা এক বা একাধিক ব্যক্তিকে সুবিধা দেওয়া অর্থনৈতিক অপরাধ, যার দায়িত্ব তারেক রহমান এড়াতে পারেন না।

এর আগে অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের রায় পড়া শুরু হয়। গত ১৬ জুন শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করা হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আমরা এ বিষয়ে আইন দেখে আপিল করা যায় কি না, সে সিদ্ধান্ত নেব এবং তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করব।

অপর আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, রায়ের মাধ্যমে আমরা স্তম্ভিত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, যতই ক্ষমতাধর ব্যক্তি হোক, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *