ইয়েমেনের রাজধানী এবং একটি বন্দর শহরকে ঘিরে ইসরায়েল তীব্র ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছে বলে হুতি-নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, তারা হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ‘সামরিক অবস্থানে’ এই হামলা চালিয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে সম্প্রতি ইহুদি ওই দেশটিতে হামলা চালিয়েছিল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হুতি গোষ্ঠীর একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। এর পরেই আজ বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে এবং ইয়েমেনের গভীরে হুতি যোদ্ধাদের সামরিক অবস্থানে আক্রমণ করেছে ইসরায়েল।
সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হামলা করা লক্ষ্যবস্তুগুলো হুতি বাহিনী তাদের সামরিক অভিযানের জন্য ব্যবহার করে থাকে।’
ইয়েমেনের হুতি দ্বারা পরিচালিত আল মাসিরাহ টিভি বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় আস-সালিফ বন্দরে সাত জন নিহত হয়েছে এবং বাকিরা রাস ইসা তেল স্থাপনায় দুটি হামলায় মারা গেছে।
Read More News
এগুলো পশ্চিমাঞ্চলীয় হোদেইদাহ প্রদেশে অবস্থিত।
আল মাসিরাহ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে সানা এবং বন্দর শহর হোদেইদাহতে আক্রমণাত্মক অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে সানায় দুটি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হযেছে। আর হোদেইদাহতে শত্রুরা বন্দরকে লক্ষ্য করে চারটি আক্রমণাত্মক হামলা চালায় … এবং একটি তেল স্থাপনাকে লক্ষ্য করে অন্য দুটি হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, তার বাহিনী সানায় বন্দর এবং জ্বালানি অবকাঠামোসহ হুতি সামরিক সাইটগুলোতে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল এর আগে জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে হোদেইদাহ আক্রমণ করেছিল, তখন অন্তত চারজন নিহত হয়েছিল।