রাজধানীর চকবাজারে সাংসদ হাজি মো. সেলিমের মালিকানাধীন মদিনা আশিক টাওয়ারের ছাদের একটি কক্ষে টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। ১৬ তলা ভবনের ছাদের এই কক্ষটি হাজি সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতেন। এই টর্চার সেল থেকে একটি হাড়, চাকু, দড়ি, হকিস্টিক, হ্যান্ডকাফসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করেছে র্যাব।
দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩৮টা অবৈধ ওয়াকিটকি উদ্ধার করেছে র্যাব। এসব ওয়াকিটকি দিয়ে পুরো ‘পুরান ঢাকা’ নিয়ন্ত্রণ করতে কাউন্সিলর ইরফান।
Read More News
রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মো. সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বাসায় আজ সোমবার অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
এ সময় বাসা থেকে লাইসেন্স বিহীন বিদেশি অস্ত্র, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফ কেইস, মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি, গুলি, হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন ও কন্ট্রোল রুম থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ভেরি হাই সিকিউরিটি সেট উদ্ধার করা হয়।
এর আগে আজ দুপুর থেকে চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনে হাজি সেলিমের ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’ ঘিরে রাখেন র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। পরে র্যাবের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ র্যাব সদস্যরা বাড়িতে প্রবেশ করেন। অভিযানকালে ওই বাড়িটিকে ঘিরে শত শত মানুষ জড়ো হয় চকবাজার এলাকায়। আটতলা বিশিষ্ট বাড়িতে হাজি সেলিম নিজে এবং তাঁর ছেলেরা থাকেন। হাজি সেলিমের তিন ছেলে। তাঁর মেজ ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম থাকেন পঞ্চম তলায়। চতুর্থ তলায় থাকেন ইরফান সেলিমের স্ত্রী, বাড়ির দ্বিতীয় তলায় হাজি সেলিম এবং ষষ্ঠ তলায় থাকেন বড় ছেলে সুলাইমান সেলিম। ছোট ছেলে আশিক সেলিম অস্ট্রেলিয়ায় পড়ালেখা করেন। বাকি তলাগুলো ভাড়া দেওয়া রয়েছে।
হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম গতকাল রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদ মামলার ৩ নম্বর আসামি। ওই মামলার আসামি হাজি সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।