বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় সাড়ে চার হাজার কম্পিউটারের মধ্যে অতি সন্দেহজনক ২৫টি কম্পিউটার টার্গেট করে এগোচ্ছেন গোয়েন্দারা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিভাগসহ ব্যাক অফিস অব ডিলিং রুমের (সুইফট রুম) প্রায় সব কম্পিউটারের ডিজিটাল ইমেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কোন্ কম্পিউটার থেকে রিজার্ভ জালিয়াতির নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮শ’ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় ব্যাংকটির সন্দেহভাজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেশত্যাগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশের সব বিমানবন্দর, সমুদ্র ও স্থলবন্দরে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তে থাকা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির সবুজ সঙ্কেত ছাড়া কেউ দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক সূত্র। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মার্কিন ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ঘটনায় দেশের ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি বিভাগ ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় যেসব কর্মকর্তা কাজ করেন তাদের পাসপোর্টের কপি সংরক্ষণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার অর্থ চুরির ঘটনায় কর্মীরা জড়িত থাকায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেছে ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি)।
Read More News