ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ভারতের উড়িষ্যায় উপকূলীয় এলাকায়। প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস বইছে, সেই সঙ্গে হচ্ছে ভারী বর্ষণ। ঝড়ে উড়িষ্যায় বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্থাপনা ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার (২০ মে) সকাল থেকেই উড়িষ্যার পারাদ্বীপে সর্বোচ্চ ১০৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। চান্দবালিতে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। বেলাশোরে ৫৭ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। আর ভুবনেশ্বরে ৫৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে সেখানে। বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভূমিতে আছড়ে পড়ার আগেই তার জেরে মৃত্যু হল বাংলাদেশে। ঢাকা থেকে মাত্র ৯৫ কিমি দূরে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর কেন্দ্রীভূত হতে চলেছে এই ঝড়। ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিমি গতিবেগে আম্পান পশ্চিমবঙ্গের দীঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার উপর আছড়ে পড়ে। এই দুই এলাকার ১২,০০০ আশ্রয়স্থলে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষকে সরানো হয়েছে।
Read More News
ঘূর্ণিঝড়ে প্রবল প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে। রাজ্যের পাশাপাশি ওডিশাতেও তাণ্ডব করার কথা আম্পানের। সেখানে প্রায় ১০ জেলায় সতর্কতা জারি হয়েছে। দুই রাজ্য থেকে প্রায় ৪২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে।
বুধবার দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যেই তা ঢুকে পড়বে স্থলভাগে। মূলত দীঘা ও হাতিয়া দ্বীপের কাছাকাছি জায়গা থেকেই স্থলভাগে ঢুকবে ওই ঝড়। স্থলভাগে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে স্থলভাগ দাপাবে ওই ঘূর্ণিঝড়। তবে, সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১৮৫ কিলোমিটার। এদিকে পূর্ব উপকূলে ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে “চূড়ান্ত সতর্কতা” জারি করা হয়েছে।