ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় শুরু হলো প্লাজমা থেরাপির কার্যক্রম। কোভিডজয়ী চিকিৎসকের দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন নামে এক চিকিৎসক অত্যাধুনিক অ্যাফারেসিস মেশিনের মাধ্যমে রক্তের প্লাজমা দান করেন। তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে সীমিত সুযোগের প্রেক্ষাপটে এ থেরাপি আশার আলো হয়ে উঠেছে। কোভিড নাইন্টিন থেকে সেরে ওঠা সামর্থ্যবান মানুষদের প্লাজমা দেওয়ার অনুরোধ করেন এ চিকিৎসক।
শনিবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
Read More News
থেরাপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট মানে উত্তীর্ণ হলেই প্রথম ঢাকা মেডিকেলে করোনা রোগীদের দেহে প্রয়োগ করা হবে এ প্লাজমা।
এন্টিবডি থেরাপি বা ব্লাড-প্লাজমা থেরাপি পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠা ব্যক্তির ব্লাড-প্লাজমা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করলে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। কারণ পূর্বে আক্রান্ত হতে নিরাময় হয়ে উঠা ব্যক্তির শরীরে এন্টি-কোভিড-১৯ এন্টিবডি উৎপন্ন হয়ে আছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রাথমিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু শনিবার থেকে। অন্তত ৪৫ জন রোগীর ওপর দেখা হবে কার্যকারিতা, সফল হলে চলবে আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ।