রবিবার ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবস, ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। তাই শনিবার বরিশাল নদী বন্দরে এবং প্রতিটি লঞ্চের টিকেট কাউন্টারে ছিল ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
নানাভাবে তদবির করে কাঙ্ক্ষিত টিকেট পেয়েছেন। কিন্তু যাত্রীদের অত্যাধিক চাপ থাকায় টিকেট না পেয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে অনেকেই। কেবিনের টিকেট না পেলেও যেতে হবে গন্তব্যে। তাই লঞ্চে-বাসে যে যেভাবে পেরেছে ফিরেছেন কর্মস্থলে।
সারা বছর লঞ্চের কেবিন যেন সোনার হরিণের মতো। আর ঈদের সময় লঞ্চের কেবিন যেন আকাশের চাঁদ। আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ঈদের অতিরিক্ত চাপ অব্যাহত থাকবে।
Read More News
বছরের অন্যান্য সময় বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি বিলাসবহুল লঞ্চ ছেড়ে যায়। ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে ১৮ থেকে ২০টি লঞ্চের ব্যবস্থা করেছে লঞ্চ মালিক সমিতি। তারপরও কোন লঞ্চে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, ঈদের অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে নিয়মিত সার্ভিসের পাশাপাশি ২৫, ২৬ ও ২৭ আগস্ট বিশেষ সার্ভিসের (ডবল ট্রিপ) ব্যবস্থা করেছেন তারা। অবস্থা বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
এদিকে, বরিশাল নদী বন্দরে শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। পাশাপাশি নদী বন্দরে নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কঠোর নজরদারি করছে বলে জানিয়েছেন নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।