দেশে ডাক্তারি পেশা দুর্বৃত্তের পেশায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত আরো বলেন, নিজেদের ভুল ঢাকতে ধর্মঘট ডাকা আরো অন্যায়।
সোমবার (৯ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক রুলের শুনানিকালে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।
Read More News
আদালত বলেন, কতিপয় দুর্বৃত্তের কর্মকাণ্ডের কারণে চিকিৎসা সেবার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। দেশে অনেক স্বনামধন্য চিকিৎসক এবং ভালো মানের চিকিৎসা সেবার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কতিপয় ভুল চিকিৎসার ভয়ে রোগীরা পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যাচ্ছে। এতে দেশীয় মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে।
এ ধরনের পরিস্থিতি কমিয়ে আনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদকে নির্দেশনা দেন আদালত ।
আদালতে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। তার সঙ্গে ছিলেন সভাষ চন্দ্র দাস। অন্যদিকে, ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
উল্লেখ, রোববার (৮ জুলাই) চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম। অদক্ষ জনবল ও অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার এবং হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকায় ১০ লাখ জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে বিপাকে পড়ে রোগী ও স্বজনরা। সরকারি হাসপাতালে বাড়তে থাকে রোগীর চাপ। রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তির কথা ভেবে সোমবার (৯ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রশাসন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে ধর্মঘট সাময়িক স্থগিত করেন বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা।