মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পাশাপাশি বিশ্বে একশো উনিশতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই পাসপোর্টে নিরাপত্তা বাড়ার পাশাপাশি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে হয়রানি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে জার্মান সরকারের সাথে জিটুজি চুক্তির আওতায় সামনে জুলাই মাস থেকেই প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
বহির্বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের নাগরিকদের হাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট তুলে দিতে ২০১৬ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পাশাপাশি ই-পাসপোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। ২১ জুন একনেক চার হাজার ৬৩৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।
Read More News
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ই-পাসপোর্টে ইলেকট্রনিক ছবি, স্বাক্ষর ও দশ আঙ্গুলের ছাপের পাশাপাশি থাকবে চোখের মণির ছবি। এছাড়া মূল পাতায় থাকবে ইলেক্ট্রনিক চিপ যাতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ইমিগ্রেশনে হয়রানি বন্ধ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঢাকার বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক বলেন, ‘মাঝে মধ্যে শুনি ইমিগ্রেশনের লোকজন হয়রানি হয়। ই-পাসপোর্ট হলে এগুলি আর থাকবে না। কোনো কর্মকর্তার কাছে গ্রাহকদের আর সাক্ষাত দিতে হবে না।’
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এই প্রকল্পের আওতায় দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও দুইটি স্থলবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘কন্ট্রাক লাইনের ছয় মাস পর থেকে তারা এর কার্যক্রম শুরু হবে। এমনভাবেই কথা বার্তা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে আমরা কন্ট্রাক সাইন করবো।’
দশ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ই-পাসপোর্ট বুকলেটের ২০ লাখ প্রাথমিকভাবে জার্মানী থেকে আমদানি করা হলেও দুই কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট দেশেই তৈরি করা হবে। পাশাপাশি চালু থাকবে চলমান এমআরপি প্রকল্প। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে পারেন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা।