স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যেখানে মাদক আছে, সেখানেই অবৈধ অস্ত্র ও অবৈধ টাকা আছে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে গেলে ফায়ারিং হবেই। সারা বিশ্বেই মাদকবিরোধী অভিযানে ফায়ারিং হয়ে থাকে।
কামাল বলেন, ‘আমরা কাউকে হত্যা করছি না। সেটা আমাদের উদ্দেশ্যও নয়। আমাদের পাঁচটি গোয়েন্দা সংস্থা আলাদা আলাদা তালিকা করেছে। যাদের নাম কমন পড়েছে, তাদের কাছে যাচ্ছে আমাদের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী’।
আজ শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘মাদকবিরোধী অভিযান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি’বিষয়ক এক গোলটেবিল আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
Read More News
চলমান এই মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তাঁরা এই ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজারের টেকনাফের আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর একরামুল হক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায় সাধারণ মানুষ।
পাশাপাশি এ অভিযানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। যদিও সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।
অভিযান সস্পর্কে সমালোচনার জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের কারাগারের ধারণক্ষমতা ৩৫ হাজার। সেখানে বর্তমানে আছে ৮৬ হাজার ৩৬৯ জন। এর ৪৪ ভাগই মাদক মামলার আসামি। আমরা প্রকৃত দোষীদের ধরতে আইন সংশোধন করছি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।