বলিউড অভিনেতা সালমান খানের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হলো। তবে এই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, টাবু ও নিলম।
আজ বৃহস্পতিবার ভারতের যোধপুরের একটি আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি সাজাও ঘোষণা করা হয়। তাঁকে পাঁচ বছরের জেলের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে সাজা যাই হোক না কেন, তাঁর জামিনের জন্য এরই মধ্যে সব কাগজপত্র তৈরি রাখা রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী।
প্রায় কুড়ি বছর পর এদিন যোধপুর আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করলেন।
Read More News
১৯৯৮ সালে সালমান, সাইফ, টাবু, নিলম ও সোনালি বেন্দ্রে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে যোধপুর গিয়েছিলেন। অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন ১ ও ২ অক্টোবর রাতে দুই জায়গায় সালমান কৃষ্ণসার শিকার করেন। সে সময় বিশনই উপজাতিরা কাঙ্কানি গ্রাম থেকে সেই হরিণ শিকারের গুলির শব্দ শুনতে পান। এমনকি সালমানকে জিপসি নিয়ে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে যেতেও দেখেন তাঁরা। সালমানের খানের বিরুদ্ধে কাঙ্কানি গ্রামের বাসিন্দারাই মূল অভিযোগ তোলেন। রাজস্থান রাজ্যের স্থানীয় বিশনই উপজাতিরা এবার কৃষ্ণসার হরিন হত্যায় ন্যায্যবিচার পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।
রায় ঘোষণার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন সালমানের ছোট বোন আলভিরা। আরেক বোন অর্পিতাও নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি। তবে রায় শুনেও নির্বিকার ছিলেন স্বয়ং সালমান। আজ আদালতে ঢোকার সময় সালমানের গায়ে ছিল তার ‘লাকি’ ব্ল্যাক শার্ট। তবু শেষ রক্ষা হল না।
এই মুহূর্তে আবুধাবিতে জোর কদমে চলছিল ‘রেস ৩’ ছবির শুটিং। কিন্তু মামলার রায়ের দিন স্থির হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি করে সেই শুটিং শেষ করে দেশে ফিরেন সালমান খান। বুধবার যোধপুরে পৌঁছান তিনি। সাথে ছিলেন সালমানের আইনজীবী হস্তিমল সরস্বত এবং তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। এছাড়াও সব সময় ভাইয়ের পাশে ছায়াসঙ্গীর মতো রয়েছেন আলভিরা ও অর্পিতা।
বৃহস্পতিবার সোয়া ১১টার দিকে সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করেন যোধপুর আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার ক্ষেত্রী। দুপুর ২টায় আদালত সালমানকে ৫ বছরের জেল ও ১০ হাজার রুপি জরিমানা নির্দেশ দেন।