মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন আমেরিকার চোখে বিশ্বের এক নাম্বার সন্ত্রাসী। পশ্চিমা মিডিয়ার চোখে তার ভয়ানক রূপই দেখে এসেছে বিশ্ববাসী। সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, পরিকল্পনা করেছে ভয়াবহ সব হামলার। এসব করতে গিয়ে পৃথিবীতে মানবজাতির বেঁচে থাকাটই হুমকির মুখে ফেলেছিলেন। কিন্তু এখন জানা গেল, মানব জাতির কল্যাণ নিয়েও অল্পবিস্তর চিন্তাভাবনা করেছিলেন আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেন। মানবজাতিকে রক্ষায় আমেরিকাবাসীকে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হতে বলেছিলেন তিনি। সম্প্রতি আমেরিকা সরকার প্রকাশিত লাদেনের উইল ও তার লেখা কয়েকটি চিঠি থেকে এসব কথা জানা গেছে। এছাড়া উইলে লাদেন তার রেখে যাওয়া ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার সম্পদের বণ্টনের বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স
Read More News
ওয়াশিংটন মঙ্গলবার আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের বেশ কিছু নথিপত্র প্রকাশ করেছে। এসব চিঠির একটিতে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে তার এই উদ্বেগ ফুটে উঠেছে। আমেরিকার জনগণের প্রতি লাদেনের খোলা চিঠিটিতে কোনো তারিখ না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে, এটি ২০০৯ সালে লেখা। এই চিঠিতে লাদেন আমেরিকাবাসীকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ২০০৭-০৮ সালে আমেরিকার অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হিসেবে করপোরেট ব্যবসায়ীদের হাতে পুঁজির নিয়ন্ত্রণকে দায়ী করেন এবং আমেরিকার জনগণকে আহ্বান জানান, এসব চাপ থেকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে মুক্ত করতে। লাদেন তার চিঠিতে লিখেছেন, কেবল সেটা হলেই প্রেসিডেন্ট ওবামা মানবজাতিকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। এমনকি বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে প্রচারণা জোরদার করতে চিঠিও লিখেছিলেন লাদেন। ওই চিঠির সঙ্গে প্রকাশিত উইল থেকে জানা গেছে, মৃত্যুর সময় প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ সম্পত্তি রেখে গেছেন আল-কায়েদার এই শীর্ষ নেতা। উইলে লাদেন বলেছেন, তার সম্পদ রাখা আছে সুদানে।